১০তম গ্রেড: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আদালতের রায় অমান্য করছেন ?

প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড উন্নীতের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে আইনগত মতামত নিয়ে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ১৩তম ও প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। শিক্ষকরা বলেছেন, তারা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকরা ১০তম গ্রেড করার বিষয়ে আদালতের রায় পেয়েছে। আপনারা কী আদালতের রায় অমান্য করে এটা করতে চাচ্ছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘না, তা করতে চাচ্ছি না আমরা।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রস্তাব দেয়া ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়। তাদের (শিক্ষক) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এটা করেছি, তারা যে ধারণাটা দিয়েছেন, এই রকম ১৩তম গ্রেডে দেয়া হোক। ওনারা দিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে আমরা এটা রিভিউ করেছি। আমরা সেই জায়গায় পৌঁছার জন্য চেষ্টা করতেছি। আমাদের একটা নিয়োগবিধি হবে, ১৯৮৫ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকদের কোনো নিয়োগবিধি নেই।’

এ পর্যায়ে সচিব বলেন, ‘মানা না মানা হচ্ছে পরের বিষয়। এখন প্রধান শিক্ষকদের দুটি স্কেল বলবৎ আছে- ১১ ও ১২ তম গ্রেড। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম ও প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। ওইটাকে এক করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ বিহীন- এটা আর থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদেরও দুটো স্কেল ১৪ ও ১৫তম। প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণবিহীন-এটাকেও এক করে ১৩তম গ্রেড করা হয়েছে।’

আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘ওই জায়গাটায় একটা বড় ধরনের বৈষম্য ছিল, কারণ প্রশিক্ষণের ম্যান্ডেটটা সরকারের, যখন কেউ নিয়োগ পায় প্রশিক্ষণ দেয়ার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমি প্রশিক্ষণ দিতে পারছি না সেজন্য শিক্ষক কেন সাফার করবে?’