শিক্ষিকা অ্যানির পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া হলো না

পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে বাসা থেকে বের হন তিনি। পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে সহকর্মীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ দেয়ালের একটি অংশ এসে পড়ে তার ওপর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পটিয়ার সরকারি মেহেরআটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়ার (৪০)।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটায় গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণে দেয়াল ধসে নিহতদের একজন তিনি।

স্বামী পলাশ বড়ুয়া ও দুই ছেলে অভিষেক-অভিজিৎকে নিয়ে পাথরঘাটায় ভাড়া বাসায় থাকতেন অ্যানি বড়ুয়া। পলাশ বড়ুয়া পটিয়ার শিকলবাহায় পিডিবির প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। বড় ছেলে অভিষেক এ বছর জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। অ্যানি কক্সবাজারের রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও ফঁতেখারকুল ইউনিয়নের হাইটুপী গ্রামের নিহার বড়ুয়া মাস্টারের মেয়ে।

পলাশ বড়ুয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, আজকের পিএসসি পরীক্ষার প্রথম ডিউটিতে তাকে শাড়িও ঠিক করে দিয়েছি। পছন্দের শাড়ি পড়ে অ্যানি ডিউটিতে যাচ্ছিল। ও আগে বের হয়, আমি পরে বের হচ্ছিলাম। এরমধ্যে শুনি এ দুর্ঘটনা। আমাদের সাজানো গোছানো সংসার এক নিমিষেই শেষ। আমি ছেলেদের কি জবাব দেবো?

অ্যানির শ্বশুর বাড়ি পটিয়ায়, বাবার বাড়ি কক্সবাজারের রামুতে। তার ভাই অনিক বড়ুয়া বলেন, আমার দুই ভাগ্নের কি হবে? তাদের কান্না থামছে না।

শুধু অ্যানি বড়ুয়ার পরিবার নয়, নিহতদের স্বজনের কান্নায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে চমেক হাসপাতাল এলাকায়।