সংসদে যা বললেন রওশন এরশাদ শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিতে

সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১৩তম।

বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিসহ প্রস্তাব পেলে এই পদেরও বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।

তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণের প্রস্তাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতারা। ওই প্রস্তাব বাদ দিয়ে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১ তম গ্রেডে নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ৫ম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার দাবি করে বলেন, ১০ম আর ১১তম গ্রেড খুব বেশি বড় দাবি নয়। শিক্ষকদের পর্যাপ্ত বেতন দেওয়া না হলে কীভাবে পড়াবে? শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ঠিক করতে হবে।

এছাড়া বেকার সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর ২৩/২৪ লাখ শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। তাদের জন্য শিল্পায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। শিল্পায়নে দৃষ্টি না দিলে অনেক সমস্যা দেখা দেবে। কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। কৃষিজমি বাদ দিয়ে শিল্পায়ন করতে হবে। শিল্পায়নে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।