হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের টেবিলে আইবাস++ এর ফাইলটি ছাড়পত্রের অপেক্ষায়
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন অনলাইন ভিত্তিক সফটওয়ার আইবাস++ এ নির্ধারণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত ফাইলটি এখন স্বাক্ষরের অপেক্ষায় হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের টেবিলে।
মো. মুনজুর আলম, নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (হিসাব ও সিডিপিইউ শাখা) আমাদের ১৩ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য ibas++ এ বেতন এন্ট্রির জন্য ফাইলটি পর্যালোচনা কররেছেন।
ফাইলটি পর্যালোচনা শেষে হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক, মো. জহুরুল ইসলামের স্বাক্ষর হলে শিক্ষকদের আইবাস++ এ ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের জন্য পাঠানো হবে। আর কোন জটিলতা থাকবে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন ফিক্সেশনের ক্ষেত্রে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মনোয়ারা ইশরাত ও একই মন্ত্রণালয়ের বিদয়ালয় শাখার উপসচিব শামীম আরা নাজনীন এর অক্লান্ত পরিশ্রমে ফাইলটি পোঁছায় হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের টেবিলে।
আমাদের সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণী ফাইলটি হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের ছাড়পত্র পেলেই আইবাসে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে আর বাঁধা থাকবে না। ‘১৩ তম গ্রেড দ্রুততম সময়ের মধ্যে ibas++ কর্মসূচিতে এন্ট্রির জন্য পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুনজুর আলম।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক বরাবর স্মারক নং সিএও/প্রাগম, প্রশা/বেতন পূনঃ নির্ধারণ/৫৩/৩৪২ মোতাবেক নাশিদ নওয়াজেশ, সিএএফও স্বাক্ষরিত ৪ পাতার সংলগ্নী সহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণ ibas++ তে সংযোজনের একটি অফিস আদেশ সহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সহ অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সিজিএ তে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রায় ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও ibas++ কর্মসুচিতে অপশন সংযোজন করা হয় নাই। আর আইবাস++ সফটওয়্যারে সমস্যা ছিল ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে ছাড়া উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের কোন অপশন আইবাসে ছিল না। সেহেতু ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণে এই বিলম্ব।
এছাড়া আরো উল্লেখ্য, সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলের প্রজ্ঞাপন গত ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে জারী করা হয় যা প্রায় ০৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে।