ডায়াবেটিসকে সঙ্গী করেও সুস্থ থাকুন

আপনি হয়ত লোককে বলতে শুনেছেন যে তাদের ‘হালকা ডায়াবেটিস আছে’ বা তাদের ‘সুগার সামান্য বেশি’। এই বাক্যগুলি ইঙ্গিত করে যে ডায়াবেটিস কোনো গুরুতর রোগ নয়। এটা সঠিক নয়। ডায়াবেটিস গুরুতর বিষয়, তবে আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে পারেন। ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয় এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া যে কোনো ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।

মনে করুন আপনি একজন ডায়াবেটিসের রোগী। আপনি রাতের বেলা হঠাৎ টের পেলেন, আপনার বুক ধড়ফড় করছে, হাত-পা কাঁপছে, মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাবেন। তখন বুঝে উঠতে পারছেন না কী হলো। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলো, না কমে গেলো। অনেক রাত। এ মুহূর্তে চিকিৎসক পাওয়া কঠিন। কী করবেন তখন আপনি? পরিবারের অন্য সদস্যরাই–বা কী করবেন তখন। এ রকম অসহায় অবস্থায় পড়েছেন হয়তো অনেকেই। হয়তো সমাধানও মিলেছে। একে-ওকে ধরে রাতবিরাতে হয়তো চিকিৎসকের পরামর্শও পাওয়া গেছে। কিন্তু যে অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় কাটলো কয়েকটা মুহূর্ত, তা থেকে রেহাই পাবেন কী করে?

ওপরে যে অবস্থার বর্ণনা দেয়া হলো, তার নাম হাইপোগ্লাসেমিয়া। রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে এমন হয়। এ রকম পরিস্থিতি হলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার আগেই ৪ থেকে ৮ চামচ চিনি বা গ্লুকোজ পানিতে গুলে খেয়ে নিতে হবে। যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন, তবে আপনার মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। কাজেই জ্ঞান হারানোর আগে আপনি নিজেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। আর যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের উচিত অবিলম্বে বাড়ির কাছের ওষুধের দোকান থেকে নিয়ে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে গ্লুকোজ ইনজেকশন দেয়ার ব্যবস্থা করা বা নিকটস্থ ডায়াবেটিস কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া।

একজন ডায়াবেটিক রোগী কতটা সুস্থ বা ভালোভাবে বেঁচে থাকবেন সেটা সেটা নির্ভর করে তিনি কতটা সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস রোগটি খুবই ভয়াবহ একটি রোগ। কারণ, এটি সারাজীবনে কখনো ভাল হয় না। ডায়াবেটিস মূলত মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। সাধারণত শর্করার বিপাকজনিত ত্রুটির কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আর, নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব।

ডায়াবেটিস শব্দটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়াবেটিসের রোগী নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারি রোগ। এই রোগের অত্যধিক বিস্তারের কারণেই সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ডায়াবেটিস কী?

সহজ কথায় বলতে গেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। একে নিঃশব্দ ঘাতক বলা হয়ে থাকে। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে একসময় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই প্রকার: টাইপ-১, টাইপ-২। এছাড়া জেসটেশনাল (Gestational) বা প্রেগনেন্সী ডায়াবেটিস এবং সেকেন্ডারি ডায়াবেটিসও আছে।

ডায়াবেটিস কেন হয়?

আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রূপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিঃসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে।

শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত বছরে ৪২৫ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৪২ কোটিরও বেশি ছিলো। তবে শঙ্কার বিষয় হলো প্রতি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন এখনও জানতে পারছেন না যে তার ডায়াবেটিস রয়েছে। রোগ শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

কী কী ধরনের ডায়াবেটিস আছে?

ডায়াবেটিস রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এ রকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।

অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই ধরনের ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয় তাদেরও এই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। সন্তানসম্ভবা হলে পরেও অনেক নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের এবং সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হতে না পারে, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে ৬ থেকে ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীর চর্চা অথবা ইনসুলিন নেয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো

ডায়াবেটিস রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে সহজেই চিহ্নিত করা যায় ডায়াবেটিস। আর যত আগে ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যাবে, তখনই নিতে হবে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ। ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো হলো:

১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

২. তেষ্টা পাওয়া

৩. নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন খিদে

৪. প্রচণ্ড পরিশ্রান্ত অনুভব করা

৫. চোখে ঝাপসা দেখা

৬. শরীরের বিভিন্ন অংশের কাটাছেঁড়া সহজে সারে না

৭. খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া

৮. হাতে-পায়ে ব্যথা বা মাঝে মাঝে অবশ হয়ে যাওয়া

 

ডায়াবেটিস কি প্রতিরোধ করা সম্ভব?

ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। মসৃণ শাদা আটার রুটির পরিবর্তে খেতে হবে ভুষিওয়ালা আটার রুটি। এটাই প্রথম ধাপ। এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনি জাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি। আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক সবজি, ফল, বিন্স এবং মোটা দানার খাদ্য শস্য। স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল। এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমাণে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।

শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রাখা সম্ভব

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার মতো ব্যায়াম করা দরকার। তার মধ্যে দ্রুত হাঁটা এবং সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠাও রয়েছে। শারীরিকভাবে থাকতে হবে সক্রিয়। ওজন কম রাখলেও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে। সপ্তাহে আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত। ধূমপান পরিহার করাও জরুরী। নজর রাখতে হবে কোলস্টেরলের মাত্রার ওপর। এর মাত্রা বেশি হলে হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসের কারণে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?

রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে পায়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস। হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জানতে হবে

এখন কথা হলো, ডায়াবেটিস নিয়ে বসবাস করতে হলে এ রকম অনেক কিছু সম্পর্কেই আপনার সম্যক ধারণা থাকা দরকার। কেবল ডায়াবেটিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তা–ই নয়, খাবারদাবার থেকে শুরু করে হাঁটাচলা, ব্যায়াম, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা মানে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন থাকতে হবে। সে জন্য চাই রোগটি সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান ও শিক্ষা।

ডায়াবেটিসের মতো জটিল ও জীবনব্যাপী একটি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের কাজটা খুব সহজ নয়। তা ছাড়া এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পদ্ধতিও বেশ ব্যয়বহুল। নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, রক্ত পরীক্ষা করা, ওষুধ খাওয়া, কারও কারও ক্ষেত্রে নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য মাঝেমধ্যে নানা ধরনের পরীক্ষারও দরকার হয়। অথচ আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তাদের অনেকের এমনকি চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর মতো অর্থও নেই।

এ অবস্থায় ডায়াবেটিসের জটিলতা এড়াতে রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগী হতে হবে। বাড়িতে বসে রক্ত পরীক্ষাসহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলগুলো জেনে নিতে হবে। থাকতে হবে ডায়াবেটিস–সংক্রান্ত সঠিক শিক্ষা ও জ্ঞান।

 

কতো মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৪২৫ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৪২ কোটিরও বেশি। তবে শঙ্কার বিষয় হলো প্রতি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন এখনও জানতে পারছেন না যে তার ডায়াবেটিস রয়েছে। রোগ শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। সনাক্ত করা না থাকলে ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। বিশ্বে প্রতি বছর ডায়াবেটিকসের কারণে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান গত বছর ১০ম স্থানে ছিলো।

বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনে বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন।