আগামী বছরের জুনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিদ্যালয় খোলায় দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বড় দুটি পাবলিক পরীক্ষা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থাকায় চলতি বছর পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। আগামী বছরের জুন মাসে পরীক্ষা নেওয়ার লক্ষে কাজ করছে ডিপিই।

ডিপিই সংশ্লিষ্ট সনূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান শুরু হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র তৈরি, ওএমআর শিট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির আর অবনতি না হলে আগামী জুন মাসে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষা আয়োজন করতে না পারলেও পরীক্ষা সংক্রান্ত কারিগরি কাজ চলমান রাখা হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আশা করছি আগামী বছরের জুন মাসে পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।

চলতি বছর নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা চাইলেও চলতি বছর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারবো না। কেননা এ বছর দুটি বড় পাবলিক পরীক্ষা আছে। এছাড়া ইউপি নির্বাচনও রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলোতে শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগে ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।