শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিকে সাংস্কৃতিক ও শরীর চর্চা বিষয়ে

প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এজন্য নানা ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেসব নিয়ে কাজও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। এরই অংশ হিসেবে পড়ালেখার পাশাপাশি লেখাধুলা ও সংগীতের ওপর পারদর্শী করতে সাংস্কৃতিক ও শরীর চর্চা বিষয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

রোববার (২৪ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৯ ও আন্তঃপিটিআই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৮ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

পুরনো অনেক পদ্ধতি পরিবর্তন করে যুগোপযোগী প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন জরুরি। কারণ সকল শিক্ষার প্রাণ হচ্ছে প্রাথমিক স্তুরের শিক্ষা। তবে এ শিক্ষাকে আমরা ঢেলে সাজানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের পুষ্টিকর খাবার দিয়ে সেই পুষ্টিহীনতা দূর করতে হবে। এজন্য আমরা স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করেছি।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে আজকের শিশুদের যোগ্য করে তুলতে হবে। এজন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি অভিভাবকদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সংগীতের বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়ার ১৪টি, আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ৬টি এবং আন্তঃপিটিআই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ১০টি ইভেন্টে দুইটি গ্রুপে বিভাগীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫ জন এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮ জনকে প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমদ, মো. আব্দুল মান্নান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।