বড় নিয়োগ আসছে প্রাথমিকে
প্রাথমিকে রাজস্ব খাতের বাইরেও নতুন কর্মসূচির আওতায় একটি বড় অংশের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক চাহিদার বিবেচনায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। কিছু চাহিদা আমরা হাতে পেয়েছি। সেটার ভিত্তিতে কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরো পদ সৃস্টি হবে। সে আলোকে নিয়োগের কার্যক্রম চলবে। এছাড়া এ বছরের মধ্যে রাজস্ব খাতের আওতায় ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিচালিত চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভার মাধ্যমে এ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, চাহিদার ভিত্তিতে খালি হওয়া দেশের বিভিন্ন স্কুলে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বিশ্ব ব্যাংক। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) কর্মসূচিতে পূর্ত, অবকাঠামো ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা করছে।
পাঁচ বছর মেয়াদি চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকারের নেয়া প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্ববৃহৎ উদ্যোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।