২৭৩০ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন কবে পাবেন বললেন শিক্ষামন্ত্রী

৯ বছর পর ঢাকঢোল পিটিয়ে সারাদেশের ২ হাজার ৭৩০ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুুক্ত ঘোষণা করা হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনও সরকারি বেতন-ভাতা পাননি। গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্তির গেজেট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামেই পেরিয়ে গেছে সাড়ে তিন মাস।

এসব শিক্ষকের মনে প্রশ্ন কবে বেতন পাবেন তারা, কবে থেকেই বা তাদের এমপিওভুক্ত বিবেচনা করে বেতনভাতা দেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, আমরা এমপিওর ২ হাজার ৭৩৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে তালিকা প্রকাশ করেছি তাদের এখন যাচাই-বাছাই চলছে। যাদের আমরা তালিকাভুক্ত করেছি তারা অনলাইনে যে আবেদন করেছেন এবং আমরা বোর্ড থেকে তথ্য নিয়েছি তার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই চলছে।

‘আমরা আগেই বলেছিলাম তাদের এ তথ্যগুলো পরবর্তীতে আবার মিলিয়ে দেখা হবে। সত্যি সত্যি সব তথ্য ঠিক আছে কি না। নাকি ভুল কোনো তথ্য দেয়া হয়েছে।’

কিছুদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারব। কাজ শেষ হলেই তারা (শিক্ষক-কর্মচারীরা) তাদের টাকাটি পাবেন। তারা কিন্তু জুলাই মাস থেকেই পাবেন। কাজটি শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে। তারা জুলাই মাস থেকেই তাদের এমপিওর টাকা পাবেন।

এদিকে এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশীদ আমিন বলেন, নতুন শিক্ষকের এমপিওভুক্তির এক বছরের টাকা আমাদের হাতে রয়েছে। আগামী সংশোধিত বাজেটের আগেই এই অর্থ শিক্ষকদের দিতে হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী মার্চের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সংশোধিত গেজেট প্রকাশের চিন্তা করছি। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এমপিওভুক্তির ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে সময় বেশি সময় লাগলে ‘বিকল্প’ ভাবা হবে। শিক্ষকরা গত জুলাই মাস থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন। বর্তমানে যে সফটওয়্যার রয়েছে, তা ব্যবহারের মাধ্যমে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে সফটওয়্যারের নতুন তথ্য সংযোজনের কথাও জানান তিনি।