স্কুলে স্কুলে নিষিদ্ধ গাইড বই

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের সাথে আতাঁত করে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড বই চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গাইড বই নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনকে তোয়াক্কা করছেনা এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাইন উদ্দিন বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করছেন এবং শিক্ষকদেরকে গাইড বই পাঠ্য করার ব্যাপারে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রমতে যেসব প্রকাশনীর গাইড বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্য করা হয়েছে- রায়পুর সরকারি মাচ্চের্ন্টস একাডেমী লেকচার, মিতালি বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয় লেকচার পাবলিকেশন্স’র গাইড-গ্রামার, অনুপম প্রকাশনী চরলক্ষী জনতা উচ্চ বিদ্যালয় অনুপম গাইড, এল এম পাইলট অনুপম, ক্যাম্পের হাট উচ্চ বিদ্যালয় অনুপম, চরকাছিয়া খাস দীঘিরপাড় ৮ম শ্রেণি প্রাঃ বিদ্যালয় অনুপম, রায়পুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অনুপম, মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় অনুপম, জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় পাঞ্জেরী, হায়দারগঞ্জ রোকেয়া বালিকা বিদ্যালয় এ্যাডভান্স, লেকচার গাইড, জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পপি গাইড, বামনী শামছুনাহার উচ্চ বিদ্যালয় অনুপম, আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পাঞ্জেরী গাইড ও অক্ষর, প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ লেকচার,অনুপম গাইড।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রকাশনীগুলোর পরিবেশক হল- রায়পুর ভাই ভাই লাইব্রেরী, আল আমিন, আশরাফিয়া, আরবি শোরুম ও খন্দকার ট্রেডার্সসহ আরোও অনেক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান।

ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রকাশনী থেকে উৎকোচের টাকা পেয়ে গাইড কিনতে নির্দেশনা দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম সাইফুল হক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, নোট বা গাইড বই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বই লাইব্রেরীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবো।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শফিউর জামান ভূঁইয়া বলেন, সরকার গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। এসব বিষয়ে প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।