শিশুদের জন্য প্রযুক্তিও হতে পারে ক্ষতিকর
প্রযুক্তির কারণে বর্তমানে আমাদের চারপাশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। আর যার কারণে ছোট বা বড় সকলেই এই প্রযুক্তির কাছে বন্দি। কিন্তু এটি আপনার শিশুর শৈশব নষ্ট করতে পারে তা কি জানেন।
ক্ষুধা নষ্ট করে
বেশি প্রযুক্তি নির্ভরতা শিশুর ক্ষুধা নষ্ট করতে পারে। দেখা যায় যে বাচ্চা স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপের প্রতি আসক্ত হয়ে গেলে খাওয়ার কথা ভুলে যায়। ফলে আমরা স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ সামনে নিয়ে তাদের খাওয়াই। এতে তার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় এবং সে অনিহা প্রকাশ করে।
শিশুর মনোযোগ কমে
স্মার্টফোন শিশুর মনোযোগ নষ্ট করে। বিশেষ করে যখন সন্তান ভিডিও গেমস খেলতে থাকে, তখন তার পূর্ণ মনোযোগ সেদিকে থাকে। এতে তার সামাজিক-মানসিক দক্ষতার প্রচণ্ড অভাব হয়।
শিশুর মানসিক গঠনের পরিবর্তন হয়
স্মার্টফোন সন্তানের মানসিক গঠনও বদলে দেয়। প্রকৃতির সাথে খেলা না করে সে যন্ত্রের সাথেই পড়ে থাকে। এতে তার চিন্তা ভাবনার মাঝেও যান্ত্রিকতার একটা ছাপ পাওয়া যায়। ফলে তার সঠিক মানসিক বিকাশও হয় না। এমন কি এসব যন্ত্র শিশুদের অনুভূতিহীনতা শেখায়।
মানসিক রোগ তৈরি
স্মার্ট ফোনের সাথে সারা দিন থাকলে নোমোফোবিয়া নামে একটি মানসিক রোগ হয় বলে সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে। এই রোগে মূলত মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকতে অসহ্য লাগে। যেসব শিশু ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারে আসক্ত তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে এই রোগ প্রবল হয়ে উঠতে পারে।
শিশুর ঘুম নষ্ট
যেসব শিশু ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের ঘুমে বিশেষ ব্যঘাত ঘটে এবং একসময় তাদের মধ্যে ইনসমনিয়া তৈরি হতে পারে। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়, যারা ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার বেশি করেন, তাদের ঘুম গড়ে অন্যদের তুলনায় ২০.৬ মিনিট করে কম হয়। কারণ স্মার্টফোনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমিয়ে দেয় ফলে ঘুম আসে না।