পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক। আর পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেছে সিভিল এভিয়েশন।
দেশে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। আবার লকডাউনে যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারো পৌঁছে গেছে সংক্রমণের শীর্ষে।
সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচল চালু থাকায় ইউরোপ আমেরিকা থেকে দেশে ফিরতে পারেন এই সময়ে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কী হবে? তাই নিয়ে রবিবার বসবে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ইউরোপের করোনা পরিস্থিতির প্রভাব আমাদের দেশেও পড়তে পারে। যেহেতু বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। আর এ বিষয়ে রবিবার আমরা একটা মিটিং কল করেছি। সেখানে আমরা কিভাবে কি করা যায় বা কোয়ারেন্টিন এর ব্যবস্থাগুলো আরও কিভাবে বাড়ানো যায় তাও বিবেচনা করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গত কয়েকমাসে দেশে অনেক প্রবাসী এসেছে। এখন আবার তারা চাচ্ছেন চলে যেতে। অবস্থার প্রেক্ষিতেই আমরা বিবেচনা করবো কি করা যায়।
মহামারী পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি যারা আসবেন বা বিদেশ যাবেন তাদেরকে সতর্ক হতে বলছে সিভিল এভিয়েশন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আমরা চাই না যে আমাদের আকাশ চলাচলের মাধ্যমে যে দেশে ট্রাভেল করবো ওই দেশের পরিস্থিতি খারাপ হোক বা ওই দেশ থেকে যারা আসবে তারা আমাদের দেশের পরিস্থিতি খারাপ করুক। সেজন্যই আমরা আমাদের সকল পদক্ষেপ সেভাবেই নিচ্ছি।
বিমানবন্দরগুলোতে করোনা সংক্রমন রোধে আরও বেশি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বেবিচকের চেয়ারম্যান।