গণসাক্ষরতা অভিযানের ঝরে পড়াদের ফেরানোর তাগিদ

করোনা অতিমারির কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত শিক্ষায় ফেরাতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান। শনিবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গণসাক্ষরতা অভিযান অফিস মিলনায়তনে শিক্ষা বিষয়ে অংশীজনদের আলোচনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনায় অংশীজনরা বলেন, ‘করোনা অতিমারিতে প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঝরে গেছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী। অনেক শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। করোনায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেক ছাত্র কর্মে নিয়োজিত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।’

গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কে এম এনামুল হকের সঞ্চালনায় শিক্ষা বিষয়ে অংশীজনদের আলোচনা অংশ নেন নেপালের এডুকেশন আইট লাউড রিজিওনাল অফিস মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অ্যাডভাইজার রাজ পন্ট ও অ্যাডভাইজার অনুজ ছৈত্রী।

আলোচনায় অংশ নেন ন্যাশনাল ফ্রন্ট অব টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়ি সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম, বাংলাদেশ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন, বাংলাদেশ টিচার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি রাফিকা আফরোজ, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমিতির নেতা মোরশেদ সরকার প্রমুখ। 

শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গণসাক্ষরতা অভিযানের অ্যাভোকেসি অব্যাহত রাখা উচিত। ২০২২ সালের পর শিক্ষা সেক্টরে চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অ্যাডভোকেসি চালিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনায় ঝরে যাওয়া শিক্ষার্থী কত তা জানতে সরকারকে জরিপ চালাতে হবে। করোনায় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি মেটাতে হলে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে জায়গা করে নিতে তথ্য শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের ভিত্তি মজবুত করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। করোনায় বিয়ে হয়ে যাওয়া কিশোরীদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষায় ফেরাতে হবে।