প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার চিন্তা করছে সরকার
করোনা সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কয়েকটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে সরকার। এগুলো মধ্যে আছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং আগের মতোই সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট এবং অনলাইন ও দূরশিক্ষণ (টিভি-বেতার) কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলেও সার্বক্ষণিক করোনা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। এছাড়া সাত দিন পর (আগামী ১৬/১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা বিভাগ ফের জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বসবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং অবস্থা বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা রয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এবং আমাদের কি কি অপশন আছে সেগুলো সব দেখবো। তাছাড় কিভাবে স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি বজায় রেখে যেহেতু এখন টিকাদান কার্যক্রমটি জোরেসোরে চলছে এবং সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারি সে ব্যাপার আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো।
“তবে এটাও ঠিক যদি মনে হয় যে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে আসলে সংক্রমণ বাড়বে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সংক্রমণ কারণে বাড়ার আশঙ্কা থাকলে তখন বন্ধ করে দেবো। তবে এখনও যে অবস্থায় আছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে কিভাবে সংক্রমণে যেন না ছড়ায় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”
এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের ওপর বেশি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আওতায় প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ১২ বছরের নিচে, তারা টিকার যোগ্য নয়। আমাদের শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে। যদি ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন সেই সিদ্ধান্ত মানবো।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে এবং টিকার সিদ্ধান্ত না পেলে কি প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই করবো।