রমজানের ছুটি বহাল রাখার জোর দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রমজানের ছুটি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ব প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন ।

প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে রমজানের ছুটি এক মাস নির্ধারণ করে দেন। এর আগে রমজানের অর্ধেকেরও বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকত। প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন, পবিত্র রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক এমনকি শিক্ষার্থীরাও রোজা রাখেন। রোজা রেখে স্কুলে কাজ করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সে কারণে তিনি পবিত্র রমজানের ছুটি বৃদ্ধি করে এক মাস নির্ধারণ করেছিলেন।

বর্তমান ছুটির তালিকায়ও রমজানের ছুটি এক মাস নির্ধারিত আছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বুধবার ২০ রোজা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে রমজানের ছুটি এক মাস নির্ধারিত আছে। শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রমজানের ছুটি কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকারের পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

যদিও করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একথা স্বীকার করেই তারা বলেন, এখন করোনা সংক্রমণের হার একদম নিম্নগামী। ঈদের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্লাস শুরু করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ঘাটতি পূরণ করা যাবে। সামগ্রিক বিবেচনায় শিক্ষক নেতারা ছুটির তালিকা অনুসারে রমজানের ছুটি এক মাস বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন এবংএ বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশনা জারি জোর দাবি করেন শিক্ষক নেতারা।