হাইকোর্টের রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কামপ্রহরী চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে

হাইকোর্টের রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কামপ্রহরী চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে

দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ৯শ ৩২ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দপ্তরি-কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের নীতিমালা-২০১২ এর কয়েকটি ধারা অভেধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক ৬টি রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার এ রায় দেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরীদের চাকরি কেন রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হবে না এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে দপ্তরি-কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের নীতিমালা-২০১২ সংশোধনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকটে নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। 
এ রায়ের ফলে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে প্রায় ৩৭ হাজার  ব্যক্তির রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পথ প্রশস্থ হলো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে নীতিমালা-২০১২ এর যেসব নীতি আইএলও কনভেনশন এং বাংলাদেশের শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সেসব কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকার ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করে। এরপর সারাদেশে ৩৬ হাজার ৯শ ৮৮টি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ দেয় সরকার। সংশ্লিষ্টদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে সংশ্লিষ্টরা রিট আবেদন করেন।