নতুন প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এতে প্রশিক্ষণপাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য আর থাকলো না। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডও এক ধাপ (১৩তম গ্রেড) উন্নীত হলো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বেতন বৈষম্য দূরীকরণের পরে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের প্রস্তাব চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জাতীয়করণকৃত কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের আগে বেসরকার, রেজিস্টার্ড, কমিউনিটি, সংলগ্ন ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাদ দিয়ে স্কুলের নাম সংশোধনে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নাম সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, এসএমসি সভায় আলোচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রুতিমধুর ও সহজবোধ্য নাম সংশোধনীর প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে। এ বিষয়ে স্কুলগুলোকে নির্দেশনা দিতে বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গত ১১ নভেম্বর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অধিদপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, জাতীয়করণকৃত কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের আগে বেসরকার, রেজিস্টার্ড, কমিউনিটি, সংলগ্ন ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় শব্দ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লেখা, পড়া, বলা ও যোগাযোগ সুবিধার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ সহজবোধ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।

তাই চিঠিকে জেলা বা বিভাগের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের আগে বা পরে অপ্রয়োজনীয় ও সামঞ্জস্যহীন শব্দ রয়েছে তা এসএমসির সভায় আলোচনা করে শ্রতিমধুর ও সহজবোধ্য নাম সম্বলিত সংশোধনীর প্রস্তাব আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পাঠাকে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় উপপরিচালকদের।