নভেম্বর মাস ৩১ দিনে , ভুলে ভরা প্রাথমিকের সনদ !

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত বছর সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয় ২৪ শিক্ষার্থী। তারপর চলতি নভেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইস্যুকৃত ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৮’-এর সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদে ‘নভেম্বর মাস ৩১ দিনে’ উল্লেখ করা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

অভিভাবকরা বলেন, নভেম্বর মাস ৩১ দিনে হয় না। সনদ ইস্যুর তারিখ ‘৩১/১১/১৯’ উল্লেখ করা হলেও সে তারিখ এখনো আসেনি। একটি অধ্যায়ের শিক্ষা সমাপ্তির পর এমন ভুলে ভরা সনদ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তাদের সনদে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকিনা বেগম, লিপিকার-আমেনা ও যাচাইকারীর স্বাক্ষর দিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিও) মো. ফারুক হোসেন।

সনদে ইস্যুর তারিখ উল্লেখ রয়েছে ‘৩১/১১/১৯’। সাব্বির হোসেন নামে ইস্যুকৃত সনদে রোল নম্বর ভুল লেখা হয়। পরে তা কেটে দিয়ে ‘২২১৮’ লিখে সংশোধন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ ২৪ শিক্ষার্থীর সনদ ইস্যুর তারিখ ভুল হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, এটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের। ভুলের জন্য সংশ্লিষ্টদের কেউ দায় এড়াতে পারেন না। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে