প্রাথমিক শিক্ষার মান নিম্নমুখী হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

প্রাথমিক শিক্ষার মান নিম্নমুখী হওয়ার কারণ ও প্রতিকার।

১| প্রাথমিক বিদ্যালযে মূলত যারা পড়ালেখা করে তারা গ্রামীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অতি দরিদ্রতার কারণে না খেয়েই বিদ্যালয়ে চলে আসে।তারা ঘুম থেকে উঠে মক্তবে যায় সেখান থেকে এসেই সামান্য বাসিপান্তা খেয়ে স্কুলে চলে যায়। নয়টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত স্কুলে থাকে। বিরতির সময় দুই চার টাকার বুট মুড়ি খায়।অনেকে তাও খেতে পায় না।সারাদিন স্কুলে থেকে বাড়িতে যেতে পাঁচটা বাজে। তারপর আবার প্রাইভেট পড়তে যায় আশেপাশের কোন কলেজ ছােএ র নিকট। এভাবেই তাদের দিন শেষ হয়ে যায়। সারাদিনের ক্লান্তি রাত হলেই ঘুমিয়ে পড়ে।বাড়িতে স্কুলের পড়া শিখতে পারে না।বাবা মাও লেখাপড়া না জানার কারনে কিছুই বুঝাতে পারে না।

২।শিক্ষকদের সহযোগিতা করার জন্যই কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের দোষ খুজে বের করা,অপমান করা,বেতন আটকে দেওয়া, বিপদে ফেলানোই কর্মকর্তাদের প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।একজন শিক্ষক মাস্টার্স পাশ করে ভাগ্য সহায় না থাকার কারণে সে শিক্ষকতা করছে।তাকে তারই ছাএ দের সামনে দোষ বললে সে হীনমন্যতায় ভোগবে। এটাই সাভাবিক।তার নিকট পাঠে আন্তরিকতা তেমন থাকবে না।

৩।শিক্ষকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করার ফলে পাঠে সময় কম দিতে হচ্ছে। উপবৃত্তির শিওরক্যাশ,জরিপ, অন্যান্য।

৪। শিক্ষকদের পদন্নতির ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। তাদের কর্মস্পৃহা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

৫।শিক্ষক নিয়োগে বিভিন্ন কোটা থাকার কারনে বিশেষ করে নারী কোটা একটি প্রধান অন্তরায়।প্রতিটি বিদ্যালয়ে দুই এক জন শিক্ষিকা ছুটিতে থাকেই।

৬। উপকরণ তৈরি,পাঠটিকা লিখার কাজ করতে যেয়ে পাঠে সময় দিতে পারছে না শিক্ষকরা। সমাধান সুপারিশ :১।বিদ্যালয়ের সময়সূচী কমানো। ছাএ দের কথা বিবেচনা করে।

২।শিক্ষকদের কে সম্মান দিতে হবে।শিক্ষাগুরুর মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

৩।শিক্ষকদের পাঠদান ব্যতীত অন্যকাজ কমিয়ে দিতে হবে।

৪।শিক্ষকদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে অন্য চাকুরীতে যেমন হাইস্কুল,কলেজ, কিংবা অন্যপদে স্থানান্তরের সুযোগ দিতে হবে।

৫।সকল ধরনের কোটা বাতিল করে নারী-পুরুষের একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারন করতে হবে। ৬।পাঠটিকা, উপরকরণ তৈরির চাপ কমিয়ে দিয়ে এগুলো সরকার থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।