প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আরো ৪ সদস্য আটক :প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে

গাইবান্ধায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র বিতরণের অভিযোগে গাইবান্ধা সদর ও পলাশবাড়ি উপজেলার ২টি প্রতারক চক্রের ৪ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানা ও পলাশবাড়ি থানায় দুটি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক (বি সার্কেল), আউয়াল হোসেন (এ সার্কেল), ডিআইও-১ আব্দুল লতিফ মিয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার, ডিবির অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

পুলিশের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি প্রত্যাশীদের অর্থের বিনিময়ে ভূয়া প্রশ্নপত্র বিলি করার একটি পরিকল্পিত ফাঁদ পাতে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার নির্দেশে পরীক্ষা চলাকালে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে সদর থানার ধানঘড়া এলাকার আমার বাংলা বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের পেছনে রফিকুল ইসলাম প্রিন্সকে তার ভাড়া বাসায়, তার সহযোগী প্রতারক ফজলুল হক ও ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। তারা পরীক্ষার্থীদের লোকজনদেরকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি করে ভূয়া ফটোকপি প্রশ্নপত্র বিলি করছিল বলে সাক্ষ্য প্রমাণে জানা যায়। আটক ওই তিন প্রতারকের কাছ থেকে ১৮টি প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ও পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র কার্ড পাওয়া যায়। এ সময় তাদের মোবাইলও জব্দ করা হয়।

একইভাবে অপর অভিযানে পলাশবাড়ি উপজেলার নুনিয়াগাড়ি প্রফেসরপাড়ার ভাড়া করা বাসায় তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে ভূয়া প্রশ্নপত্র বিলি করছিল। এসময় আঞ্জুমান আরাকে আটক করা হলেও মূলহোতা তার স্বামী তাজুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় সহস্রাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে প্রায় ৬০০টি। এসব শুন্যপদ পুরণের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন জমা পড়ে প্রায় ২৬ হাজার। এরমধ্যে শুক্রবার ২৫ হাজার ৭৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। জেলা শহর ও আশপাশের ২৫টি কেন্দ্রে এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।