স্কুল বন্ধ ৫ দিন : বরাদ্দের টাকা নিয়ে সভাপতি-প্রধান শিক্ষক দ্বন্দ্ব

প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দ্বন্দ্বে ক্লাস বর্জন করছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২৯ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ঘটনায় বিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষক স্কুলে এসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। বিদ্যালয় প্রধান ও সভাপতির এ দ্বন্দ্বে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অবিলম্বে সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় তারা সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করবেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একে অপরকে দায়ী করছেন।

সোমবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোনও শিক্ষার্থী নেই। চার শিক্ষক স্কুলের বারান্দায় বসে গল্প করছেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

প্রধান শিক্ষক জুঁই আকতার জানান, চন্দনবাইশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন দুলাল তার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। গত নভেম্বরে বিদ্যালয়ের নামে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। সভাপতি তার কাছে ওই টাকা দাবি করেন। তবে তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে বদলি করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। সভাপতি বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করছেন। ফলে গত শনিবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসছে না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুলের সভাপতি শাহাদত হোসেন দুলাল জানান, জজ কোর্টের কর্মচারীর স্ত্রী হওয়ায় প্রধান শিক্ষক সবাইকে তার ছাত্রছাত্রী মনে করেন। তিনি ম্যানেজিং কমিটির কাউকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসসহ কমপক্ষে পাঁচস্থানে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল আলম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইউএনও শরিফ আহম্মেদ বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির স্কুলের ক্লাস চালু করা হবে।