কষ্ট দিয়ে কি শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব?

সারাদেশে কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি-সরকারি হাই স্কুলের সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচীর সাথে বিশাল ব্যবধান। যার ফলে হতদরিদ্র অভিভাবকেরাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অনাগ্রহী। এছাড়া প্রাথমিকের কর্মঘণ্টা কমানোর দাবি শিক্ষকদের অনেকদিন ধরে।

শিক্ষকদের দাবি, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কষ্টকর। যার প্রভাব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের উপরই পড়ে।

এ বিষয়ে ফেসবুকে শিক্ষকদের গ্রুপে এক শিক্ষক লিখেন, ‌‘এখন বেলা ৩টা, আমার ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান ক্লাশে এই ছাত্রীটি ঘুমিয়ে পড়েছে। না সে অসুস্থ হয়নি। হয়ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বা টিফিন আনেনি বা টিফিনে খেলাধুলা করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। খেলাধুলা শিশুদের অধিকার, এটাতো ঠেকানো যায়না। কিন্তু শিক্ষার নামে তাদের এই সোনালী শৈশব, সোনালী বিকেলগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্যে দায়ী কে? সরকার? সমাজ? না শিক্ষাব্যবস্থা? সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে আটকে রাখলেই কি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হয়ে যাবে?