প্রাথমিক শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ

রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেয়ার আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এ খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিউর ক্যাশে বেতন দেয়াকে অনিরাপদ ও ভোগান্তিকর বলে অভিহিত করেছেন তারা।

শিক্ষকদের বক্তব্য, এভাবে বেতন দেওয়া হলে পাড়া-মহল্লার পান দোকানে গিয়ে তাদের টাকা তুলতে হবে। এটি অসম্মানের। দ্বিতীয়ত, প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

শিওর ক্যাশের মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেয়ার আলোচনার খবরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন শিক্ষকরা।

মোবারক হোসাইন নামে একজন শিক্ষক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, শিওর ক্যাশের যন্ত্রণা আমরা চাই না। বেতনের টাকা তোলার জন্য দোকানে গিয়ে দাড়াবো এটা কেমন কথা, আবার বেতনের টাকা থেকে কমিশন কাটা যাবে। কোন প্রয়োজন নেই। জাতি গড়ার কারিগরদের আপনারা কোথায় নিয়ে দাড় করাতে চাচ্ছেন, বুঝতে পারছি না। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এইরকম সিদ্ধান্ত যেন না হয়।

সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। বর্তমানে তারা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে বেতন পান।

জানা গেছে, গত বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন তাদের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিশোধে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতোই সাধারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে নিম্ন পদের বা চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মচারীর বেতন বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষকরা এভাবে বেতন নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন।