বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা সংরক্ষণ ও পরিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের একত্র করে পাঠদান না করা প্রসঙ্গে

রোববার (৬ জুন) প্রাথমিকের সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মোসলেম উদ্দিন ডিপিই মহাপরিচালকের Whats App বার্তার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা সংরক্ষণ ও পরিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের একত্র করে পাঠদান করা যাবে না এ মর্মে  নির্দেশনা প্রদান করেন।

কোন কোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও আঙ্গিনায় করোনাজনিত ছুটির সময়ে গরু ছাগল চরানো হচ্ছে এবং কিছু শিক্ষক মাঠে বা কয়েকটি বাড়ির শিক্ষার্থীকে একত্রে জড়ো করে পাঠদান করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে।

বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও মাঠ সংরক্ষণ এবং পাঠদান সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা পরিপন্থী কার্য্যক্রম বন্ধ করার জন্য সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দিয়ে পত্র পাঠিয়েছে বিভাগীয় উপ পরিচালকের দপ্তর।

উল্লেখ্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্পমেয়াদী পাঠ পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের হাতে বাড়ির কাজ প্রদানের কার্য্যক্রম গ্রহণ করে।

বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে দেশের অনেক স্থানে অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার নির্দেশে ক্ষেত্রবিশেষে অতি উৎসাহী কিছু শিক্ষক ব্লক টিচিং এর অনুরূপভাবে উন্মুক্ত মাঠে বা বাড়ির আঙ্গিনায় শ্রেণি পাঠদান করছেন। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যেখানে উন্মুক্ত স্থানে নামাজ আদায়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে এসকল শিক্ষকের নিয়মবহির্ভূত কার্য্যকলাপ গত কিছুদিন যাবৎ সমালোচিত হচ্ছিল।

এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি এবং পাঠদানের নিয়ম বহির্ভূত এসব কার্য্যক্রমের বিপক্ষে। সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালকের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি বহির্ভূত এসব কার্য্যকলাপ বন্ধ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।'