প্রতি স্কুলে ‘নারী মেন্টর শিক্ষক’ বাধ্যতামূলক

প্রতিটি স্কুলে একজন করে নারী মেন্টর শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন নারী শিক্ষককে মেন্টর শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হবে। ছাত্রীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পারষ্পারিক মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি করবেন। এছাড়া স্কুলে পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত জেন্ডার সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে পর্যালোচনার ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়ে প্রজনন স্বাস্থের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ছাত্রীদের জন্য পৃথক পরিচ্ছন্ন টায়লেটের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সম্প্রতি নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সভার সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। সভায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রণিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।

সভার অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা, নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানী প্রতিরোধে যেসব আইন আইন রয়েছে তার প্রচার বৃদ্ধি করা, নারী নির্যাতন মামলার আসামী ও কয়েদিদের ওপর গবেষণা ও কাউন্সিলিং প্রদান। এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ কারিকুলামে নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে মসজিদের খুৎবায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি, জেলা উপজেলা পর্যায়ের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিগুলো সক্রিয়করণ ও প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলোতে জনসচেতনতা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এ আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায়।

এছাড়া, নারী শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, সাইবার ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি, সন্তানে সুবিধার্থে স্বামী স্ত্রীর কর্মস্থাল কাছাকাছি বা একই জায়গায় হওয়ার বিদ্যমান নীতিমালা যথা সম্ভব অনুসরণ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন সভায় উপস্থিত মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরা।