পরীক্ষকদের নতুন দাবি খাতা মূল্যায়নে

গত বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল মাত্র ১ মাস ৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়। পরীক্ষকদের অনেকে জানিয়েছেন এত কম সময়ে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন সম্ভব নয়। ফলে অনেক পরীক্ষক ভালো মন্দ সবাইকে গড়ে নম্বর দিয়ে দ্রুত খাতা দেখার কাজ শেষ করেন। এতে বঞ্চিত হয় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার চেয়েও কম সময়ে প্রকাশ কর হয় গত বছরের সমাপনী পরীক্ষার ফল। গত বছর সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় ১৮ নভেম্বর। শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। ফল প্রকাশিত হয় ২৪ ডিসেম্বর। মাত্র ২৮ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়। একে অনেকে অবিশ্বাস্য দ্রুত বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষায় পুনঃখাতা মূল্যায়নের আবেদনে ব্যাপক ফলাফল পরিবর্তনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে খাতা মূল্যায়ন নিয়ে। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে এত দ্রুত ফলাফল ঘোষণা নিয়েও।

পূর্বে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতো তিন মাসে। গত কয়েক বছর থেকে এ দুই পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হচ্ছে দুই মাসের মাথায়। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিদ্যমান চারটি পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি পাবলিক পরীক্ষায়ও পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পরীক্ষক।

অনেকে বলেছেন, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ভালো কিন্তু তাতে যদি শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শিক্ষার মানে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটা মানা যায় না।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১ এপ্রিল। শেষ হয় ১২ এপ্রিল। ১২ মে থেকে ২১ মে চলে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ১৭ জুলাই। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিন হিসাব করলে দুই মাস ৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়েছে। অপর দিকে ব্যবহারিক পরীক্ষার দিন হিসাব করলে দুই মাসেরও কম সময়ে ফল প্রকাশিত হয়েছে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ২ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলে ব্যবহারিক পরীক্ষা। আর ফল প্রকাশিত হয় ৬ মে।

চারশ’ খাতার জন্য মাত্র ১৫ দিনের মতো সময় দেয়া হয় তাদের। এটা মোটেই যথেষ্ট নয়।

অনেক শিক্ষক তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সাধারণত এক বছর আগে খাতা দেখার বিল পাওয়া যায় না। এ বছর খাতা দেখলে পরের বছর পরীক্ষার সময় বিল পাওয়া যায়। এ কারণেও অনেকের খাতা দেখার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই।