সরকারিতে ৩৪০, বেসরকারিতে ৫৭৩টি আইসিইউ; হাইকোর্টে প্রতিবেদন

সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ৩৪০ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭৩টি আইসিইউ ইউনিট (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় ৩৪৪টি সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৭ মার্চ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কতগুলো আইসিইউ, সিসিইউ ইউনিট রয়েছে তার সংখ্যা নিরূপণ করে তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট স্থাপন করতে কী পরিমাণ টাকা, কত জনবল ও কতজন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়; সে বিষয়ে প্রতিবেদন উল্লেখ করতে বলা হয়।

এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকা নির্ধারণ ও আইন অনুসারে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ-সংক্রান্ত কমিটিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন।